প্রথম ছবিটি ২০১৭ সালের মার্চ মাসের। ছবির পিছনের গল্প আপনাদের অনেকেরই জানা। জয়পুরহাটের মেয়ে রুবিনা সৌদি আরব





থেকে ঢাকায় আসার পর বাড়ি যাওয়ার পথে অজ্ঞান-এক্সপার্ট তাজুলের খপ্পরে পড়েছিলেন। তাজুল রুবিনাকে অচেতন করে তার ক’ষ্টের
কামাই নিয়ে কেটে পড়েছিল। রুবিনা তিন দিন বিমানবন্দর এলাকায় ঘোরাঘুরি করে অবশেষে তাজুলকে





এভাবে পা’কড়াও করে আইন শৃঙখলা বাহিনীর কাছে তুলে দেন। দুই বছর কা’রাদ’ণ্ড হয়েছিল তাজুলের। দ্বিতীয় ছবিটি গতকালের।
বিমানবন্দর থা’না পুলিশের সহায়তায় পরিচালিত অভি’যানে বিদেশ প্রত্যাগত যাত্রীদের প্রতারণা ও তাদের মালামাল চুরিতে সচেষ্ট থাকা কয়েকজন হাতেনাতে আটক হয়।





তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের একজনকে দেখে চেনা চেনা মনে হয়৷ দ্রুতই নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই সেই তাজুল। প্রাথমিক অবস্থায় তাজুল দাবি করে যে সে অতীতে বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কখনো দ’ণ্ডিত হয়নি৷ তবে তার কলার চে’পে ধরা রুবিনার সেই ঐতিহাসিক ছবিটি তাজুলকে দেখালে সে সবকিছু অকপ’টে স্বীকার করে৷ জেল খেটে বের হয়েও তাজুল পুরানো ধা’ন্দা ছাড়তে পারেনি৷





অতীতে তার পকেটে রুমাল থাকতো। তবে গতকাল তার সাথে সুন্দর করে ভাজ করা কিছু পকেট টিস্যু পাওয়া গেল। তাজুলকে আবারও দুই বছরের জন্য কেরানীগঞ্জে পাঠানো হয়েছে৷ মোবাইল কোর্টে এর বেশি সাজা দেওয়া সম্ভব নয়৷ তবে যারা তাজুলের খপ্পরে পড়েছেন তারা তাকে চিনতে পারলে সংশ্লিষ্ট থা’না বা বিজ্ঞ আমলী আদালতে





নিয়মিত মামলা করতে পারেন। তখন হয়ত তাকে আরও দীর্ঘ সময় বিমানবন্দর এলাকা থেকে দূরে রাখা যাবে৷