ক্ষম’তায় থাকাকালীন কিছু মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নি’ষেধা’জ্ঞা আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। আর ক্ষমতায়





এলে হোয়াইট হাউজে তার প্রথম দিনই হবে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নি’ষেধা’জ্ঞার শেষ দিন, এমনটিই ঘোষণা দিয়েছিলেন জো বাইডেন।
তাই বাইডেন নির্বাচিত হওয়ায় এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।





২০১৭ সালে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরই প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে মুসলিম নি’ষেধা’জ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। আল জাজিরা-র
খবরে বলা হয়েছে, এখন বাইডেন প্রশাসন চাইলে খুবই সহজেই নির্বাহী আদেশে ওই সিদ্ধান্ত উ’ল্টো দিতে পারে।





তবে কনজারভেটিভ পার্টি এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে নি’ষেধা’জ্ঞা বা’তিলের প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। নির্বাচনের
আগেই বি’দ্বেষমূ’লক অ’পরা’ধের বি’রু’দ্ধে ল’ড়াইয়ের কথা বলেন বাইডেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট
হিসেবে আমি আপনাদের অবদানকে সম্মান জানাতে এবং সমাজ





থেকে ঘৃ’ণার বিষয় উ’পড়ে ফেলতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করবো। আমার প্রশাসন প্রতিটি স্তরেই মুসলিম আমেরিকানদের
অবদান দেখতে চাইবে। হোয়াইট হাউসে প্রথম দিনই আমি ট্রাম্পের অসাংবিধানিক মুসলিম নিষেধাজ্ঞার পরিসমাপ্তি ঘটাবো।
এদিকে শনিবার বিজয় ভাষণে ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা গড়ার অঙ্গীকার করেছেন বাইডেন। বলেছেন, আমি এমন একজন





রাষ্ট্রপতি হওয়ার অঙ্গী’কার করছি যিনি বিভাজন না করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। যিনি লাল ও নীল রাজ্য দেখেন না, কেবল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেন।তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কথা বলেছে। তারা আমাদের সুস্পষ্ট বিজয় এনে
দিয়েছেন। এটা জনগণের বিজয়। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন,





এই জাতির ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমরা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছি–সাত কোটি ৪০ লাখ ভোট। আমার ওপর
আপনাদের এই আস্থা ও বিশ্বাসের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কোটি কোটি আমেরিকান আমার দৃ’ষ্টিভ’ঙ্গির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এটি আমার জীবদ্দশায় এক





অনন্য সম্মান। যে দৃ’ষ্টিভ’ঙ্গির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ রায় দিয়েছে তাকে বাস্তবে পরিণত করাই এখন আমাদের কাজ।