সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয়, কলকাতায় কালীপূজা উদ্বোধন করতে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল





হাসান। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। অবশেষে বিষয়টি খোলাসা করে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।নিজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সোমবার একটি ভিডিও পোস্ট করেন সাকিব। সেখানে তিনি বলেন, আমি সেখানে (কালীপূজার অনুষ্ঠানে)





যাওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। আমি পূজা উদ্বোধন করিনি। কলকাতার একজন মন্ত্রী পূজা উদ্বোধন করেছেন। গত ১২ নভেম্বর বেনাপোল হয়ে ভারত যাওয়ার পথে বেনাপোল বন্দর ইমিগ্রেশনে এক ভক্তের ফোন ভেঙেছিলেন সাকিব আল হাসান। এই ঘটনার জন্য এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেদিন বন্দরে সাকিবকে দেখেই তাঁর কাছে দৌড়ে গিয়ে ছবি তুলতে চেয়েছিলেন এক





ভক্ত। তবে সাকিব তাঁকে সড়াতে গেলে ফোনটি পড়ে ভেঙে যায়। সাকিব সবাধানতার কারণে তাঁকে সরাতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি কখনোই বুঝতে পারি না আমার আসলে অন্য একজনের ফোন ভেঙে কী উপকার হবো বা লাভ হবে। আপনারা হয়তো ভালো উত্তর দিতে পারবেন। যার ফোন ভাঙা নিয়ে





কথা হচ্ছে। আমি তার ফোনটা কখনোই ইচ্ছেকৃতভাবে ভাঙিনি। যেহেতু করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছিলাম। কীভাবে নিজেকে নিরাপদরেখে চলা যায় সেটা চেষ্টা করছিলাম। যেহেতু অনেক মানুষ ছিল এবং ভীড় ছিল, সবাই চেষ্টা করছিল ছবি তুলতে। আমিও চেষ্টা করছিলাম কীভাবে তাদের কাছে না গিয়ে আমার কাজগুলো





সম্পূর্ন করতে পারি ইমিগ্রেশনের।’ সাকিব যোগ করেন, ‘স্বাভাবিকভাবে একজন উৎসুক জনতা একদম আমার শরীরের উপর দিয়ে এসে ছবি তুলতে চায়। আমি তাকে সরিয়ে দিতে গেলে তারহাতের সাথে আমার হাত লেগে ফোনটি পড়ে যায়। পরে হয়তো ভেঙেও যায়। তার ফোন ভাঙার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আমার





মনে হয় তারও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। আর এই করোনার সময়ে সবারই সেটা করা উচিত।’