বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। সুজলা সুফলা, শস্য-শ্যামলা এক অপরূপ অনিন্দ্য সুন্দর বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের





সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে কৃষি। বাংলাদেশ সামষ্টিক অর্থনীতিতে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্য নি;রাপত্তায় এই খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে এই কৃষিপ্রধান অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ ছেড়ে উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরবে এসেও শত





প্র;তিকূলতার মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন বাংলার কিছু সূর্যসন্তান প্রবাসীরা। দূসর মরুভূমিকে সবুজে সাজিয়েছেন তারা অর্থাৎ মরুভূমির মাঝে সবজি খামার গড়ে তুলেছেন কয়েকজন বাংলাদেশী আর খামারগুলোতে সবজিও ফলাচ্ছেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা। সফলতাও আসছে ব্যাপক। খামারগুলো থেকে নানান সবজি চাষে তাদের অর্জন করতেছে বৈদেশিক মুদ্রা। আরবি ভাষায় একে মাজরা বলে।





সৌদি আরবে রিয়াদ থেকে ১০০কিলোমিটার দূরে আল খারিজ নামক এলাকায় কৃষি খামার পরিদর্শন করতে গিয়ে মনে হয়েছিল যেন এক বাংলার গ্রামেই পা রেখেছি। ধু-ধু মরুভূমির এই বিশাল বুকজুড়ে লাল-সবুজের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের হাতছানি। দেখেই মন জুড়িয়ে যায়।
দেখা গেছে, প্রায় জনশূন্য এই বিশাল ধু-ধু মরুর বুকে কৃষকরা মনের আনন্দে চাষাবাদ করছেন মাসকলাই, আলু, ফুলকপি-বাঁধাকপি,





পালংশাক, লালশাকসহ বিভিন্ন সবজি ও আবাদি ফসল। সব মিলে মনে হয়েছে যে প্রবাসে এক টুকরো বাংলাদেশ। প্রচন্ড গরমের এই দেশে শীতকালীন সবজি চাষ কীভাবে সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিকর্মে নিয়োজিত এক বাংলাদেশী বলেন, সবজি উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে এবং পরিশ্রমী উৎপাদক হতে পারলে এটি কোনোভাবেই অসম্ভব নয়। এলাকায় কৃষিকর্মে নিয়োজিত প্রবাসীরা বলেন,





‘আমাদের ক;ষ্টার্জিত অর্থ দেশে যাচ্ছে। তাতে করে যেমন আমাদের পরিবারগুলো সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছে, ঠিক তেমনই এ থেকে রেমিট্যান্স ক্রমাগত বাড়ছে। দেশ-জাতি সার্বিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ‘বাংলাদেশিদের স;মস্যার যেন অন্ত নেই।’ আমরা প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের বিমান বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ভো;গান্তির শি;কার হতে হয়। এ শহরের বেশিরভাগ এলাকা গ্রামাঞ্চলের মতো। আর এই গ্রামাঞ্চলগুলোতে সৌদির নাগরিকরা শহরের





পরিবেশে অ;তিষ্ঠ হয়ে অনেকটা শান্তির নিঃ;শ্বা;স ফেলতে প্রতি সপ্তাহে ছুটে আসেন শান্তিভোগের মরু অঞ্চলের নীড়ে।