বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হতে পারেননি তাই পাত্রী পাচ্ছিলেন না ফাহাদ আল আবদুল্লাহ। তার উপর তার সিজিপিএ





ছিল মাত্র ৩.০৭। এনিয়ে বেশ হতাশায় কাটছিল তার দিনকাল। হঠাৎ ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ফাহাদ। বিসিএস ক্যাডার নয় বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেই ফাহাদই এখন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (নাসা)





চাকরি পেয়েছেন। নাসায় আবহাওয়া বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ফাহাদ। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ফাহাদ তার জীবনের গল্প শেয়ার করেছেন। ফাহাদ বলেন, অনার্স শেষে সবাই যখন বিসিএস ব্যাংক নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করেছিল মাকে বলেছিলাম, মা দেখ রেজাল্ট খা’রাপ হতে পারে, কিন্তু তোমার ছেলে দেশসেরা জ্ঞানী





গুনীর একজন হয়ে দেখাবে। সেই দিন থেকেই শুরু করে দিলাম হাড় ভাঙা পরিশ্রম। সারারাত ও দিনে পড়তাম আর লেখতাম। মাঝে মাঝে মেসির খেলা দেখতাম সময় মেনে। সময় নিয়ে জিয়ারি স্কোর করলাম ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপও পেয়ে গেলাম। এরপরের যাত্রাও সহজ ছিল না। আমেরিকায় এসে মানিয়ে নেয়া নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। সহজভাবে বললে





খুব একা লাগত। বিয়ে করতে চাইলাম কিন্তু বিসিএস ক্যাডার না হলে কে বা করবে বিয়ে! খুব খা’রাপ সময় যাচ্ছিল। সেই সময় জীবনে এল বসন্ত। বিয়ে করে ফেললাম আমার ভালোবাসাকে। দুজনে অল্প কয়েকদিন পরেই চলে এলাম আমেরিকা। শুরু হল পিএইচডি ডিগ্রি পাওয়ার গবেষণা। আবার খাটাখাটুনি করতে লাগ’লাম। সেই সময় আমার পাশে ছিল আমার





একমাত্র বউ। খুব ক্লান্ত লাগলে বউয়ের রূপের আলোয় চা’লিয়ে নিতাম গবেষণা। এভাবে এক সময় পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত ডিগ্রি। সেদিন কা’ন্না থামাতে পারিনি। নাসা বিজ্ঞানী ফাহাদ বলেন, আমার শ্বশুরের স্বপ্ন অনুযায়ি সিলেটের জিন্দাবাজারে নাসা স্টাইলে ফানি নাসা নামে জ্ঞানভবন নির্মাণ করতে চাই। সেখানে ছোট বাচ্চাদের বিজ্ঞান শিখানো হবে।





আর এর উপরে এরোপ্লান ল্যান্ডিংয়ের স্পেস বানানো হবে। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার।উল্লেখ্য ফাহাদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।তিনি নাসা গড্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে পোস্টডক্টোরাল সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন। তার কর্মক্ষেত্রটি নাসার গ্লোবাল মডেল এবং





স্যাটেলাইট ডেটা আত্তীকরণ অফিসে থাকবে। তার প্রাথমিক প্রকল্পটি ইউএমডি এবং নাসা জেপিএলের সহযোগিতায় হবে।