তিন সন্তান রেখে দুরারোগ্য ব্যধিতে আ’ক্রান্ত হয়ে স্ত্রী’ মা’রা গেছে ১৭ দিন আগে। নিজের শারীরিক বিভিন্ন অ’সুখের কারণে এখন আর





ইজিবাইক চালাতে পারছেন না। আয় উপার্জন একরকম বন্ধ। এ অবস্থায় তিন সন্তানের মুখে আহার দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ায় ১৪ মাসের শি’শুসন্তানকে দত্তক দিতে চাচ্ছেন এক বাবা। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভা’র চন্ডীপাশা মহল্লায়। সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিনিধির





কাছে আসেন মো. আব্দুল হান্নান মিয়া (৫০)। সাথে নিয়ে আসেন বড় মে’য়ে নুসরাত জাহান নুন (১০), ছে’লে মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও দুধের শি’শু সিদরাতুল মুনতাহা তোয়াকে নিয়ে। নান্দাইল পৌরসভা’র মধ্য চন্ডীপাশা মহল্লায় তাঁর বাড়ি। সেখানে দুই শতক জমির ওপর জরাজীর্ণ একটি ঘর। প্রায় এক যুগ আগে বিয়ে করেন আনোয়রা বেগমকে। গত দুই বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যধিতে আ’ক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন।





তারপরও প্রতিবেশীদের কাজ কর্মকরে ও স্বামীর আয় দিয়েই কোনোমতে সংসার চলত। হান্নান মিয়া জানান, স্ত্রী’ বেঁচে থাকলে ছিলেন এক ভরসা। কিভাবে সংসারের খরচ ছাড়াও সন্তানদের ভরণপোষণ করেছেন তা ছিল অনেকটা স্বপ্নের মতো। গত ১৭ দিন আগে মা’রা যাওয়ার পর আমি এখন চোখে অন্ধকার দেখছি। নিজের শরীর





খা’রাপ থাকলেও সন্তানদের ভরণপোষণ করতে হিমশিম খাচ্ছি। বেশ কয়েক বছর ধরে একটি সিগারেট কম্পানিতে চাকরি করলেও করো’নাকালে চাকরি গেছে। পরে ইজিবাইক চালিয়ে আয় করলেও শরীরের অবস্থা খা’রাপ হওয়ায় তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মানুষের কাছে হাত পেতে ধারদেনা করে সন্তানদের দেকভাল করতে হচ্ছে।





তিনি বলেন, আর পারছি না। সন্তানদের মুখে একবেলা আহার দিলে আরেক বেলা দিতে পারছি না। ১৪ মাসের শি’শু তোয়ার দুধ জোগাড় হচ্ছে না। চোখের সামনে খিদায় কা’ন্না করে। এখন সন্তানদের তাকিয়ে নিজেও ম’রতে পারি না। তাই মনস্থির করছি কেউ যদি আমা’র সোনার ধনকে দত্তক নিতেন তাহলে অন্ততপক্ষে অন্য দুই





সন্তানকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করতাম। অন্যথায় সুহৃদয়বান কেউ যদি একটা আয়ের পথ করে দিতেন।