প্রথম বিসিএস দিয়েই ক্যাডার হয়ে প্রশংসায় ভাসছেন বুয়েটের ভাগ্যবান তকী ফয়সাল। গতকাল মঙ্গলবার ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল





দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এতে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তকী ফয়সাল।
তাকে নিয়ে ইতোমধ্যেই অনলাইনে আলোচনা শুরু হয়েছে। নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন তকী ফয়সাল। তকী ফয়সাল বগুড়া জিলা স্কুল





থেকে মাধ্যমিক আর আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুটোতেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলও করেছেন ভালো। তকী ফয়সাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুধু একাডেমিক পড়াশোনাকেই প্রাধান্য দিয়েছি।





বিএসসি চূড়ান্ত ফলাফলের পর বড় ভাইয়ের উৎসাহে বিসিএসের পড়া শুরু করে দিলাম। বড় ভাই রফি ফয়সালও ৩৪তম বিসিএসে প্রাণিসম্পদ ক্যাডার। তাঁর পরামর্শ বেশি কাজে লেগেছে। ভাইয়ের দেখানো পথে হেঁটেই সফলতা। তিনি বলেন, গতকাল খুদে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল দেখে কিছুটা বিস্মিত হই। প্রথম হবো, সেটা কখনো ভাবিনি। ফলাফলের পর থেকেই আত্মীয় আর বন্ধুরা শুভকামনা জানাতে লাগলেন। খুবই ভালো





লাগছে। তকীর বাবা মোকাররম হোসেন উত্তরা ব্যাংকের কর্মকর্তা আর মা নাজমুন নাহার গৃহিণী। দুজনই তাঁকে সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়ে যেতেন। নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এই ফলাফল হয়েছে বলে জানালেন তকী ফয়সাল প্রশাসনে চাকরি নিয়ে তকী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে অনেকে দেশের বাইরে চলে যায়। আমি চেয়েছি দেশে থাকতে। দেশের জন্য কাজ করতে।





এই জন্য প্রশাসন ক্যাডার একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন, বিসিএসে সাফল্য পেতে লেগে থাকতে হবে, একটা গাইডলাইন তৈরি করে এগোতে হবে। তাহলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে। সাদা বর্ণের উজ্জ্বল চেহারার তকী ফয়সালের মুখভর্তি দাড়ি। মাথায় টুপি আর গায়ে লম্বা পাঞ্জাবি। এ কারণে তাকে নিয়ে একটু আলাদা আলোচনাই তৈরি হয়েছে ফেসবুকে। যেখানে এখন মাদরাসা পড়ুয়া আর টুপি দাড়িকে হেয় চোখে দেখার প্রবণতা দেখা যায় সেখানে এমন ছেলের বিসিএসে চমক একটু ব্যতিক্রমী রঙ তো লাগবেই।





অনেকেই তাই তকীকে নিয়ে গর্ব করে লিখছেন, সমাজে ভেদাভেদ তৈরির অপচেষ্টাকারীদের জন্য তকী অনন্য উদাহরণ। পোশাক ও বর্ণ সাম্প্রদায়িকদের চোখ খুলবে তকী। ফেসবুকে কাসিম ফেরদৌসি নামের একজন লিখেছেন, এবার ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তকী ফয়সাল ভাই। পিএসসিকে অনেক ধন্যবাদ যে তারা এখন শুধু





মেধা দেখে নিয়োগ দেন। কে মাদরাসায় পড়ল, কে দাড়ি রাখল, কে টুপি পরল তা দেখেন না, এখন শুধু মেধাই হচ্ছে সব।
আরও সংবাদ এ দেশের মুসলমানরা আরবি ভাষাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন: ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সর্বত্র ব্যাপক আরবি চর্চা হয়ে থাকে। এ দেশের মুসলমানরা আরবি ভাষাকে তাদের ধর্ম ও কর্মের ভাষা হিসেবে হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন।





বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাবির আরবি বিভাগের আরবি ভাষা শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্যোগে ‘বিশ্বভাষা হিসেবে আরবির গুরুত্ব ও এর চর্চায় বাংলাদেশের অবদান’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
রোববার(২০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।





উপাচার্য বলেন, মুসলমানরা ইসলামকে বাস্তব জীবনে অনুসরণ করে শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করে থাকেন। শহর-নগর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সহজ-সরল মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামী মূল্যবোধ ধারণ করে থাকেন। শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউছুফের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইবন ইউসূফ আদ্-দুহাইলান, ঢাবির কলা অনুষদের ডিন





অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, জর্ডানের অধ্যাপক বাস্মাহ তোলায়লান আস্-সালাম, মরক্কোর অধ্যাপক হুদা আমারাহ, তিউনিসিয়ার অধ্যাপক ওয়াফা আয্-যুহাইলী, সুইডেন প্রবাসী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জুদ্দা আব্দুল্লাহ ও কিরগিজস্তানের ড. সাইয়ে্যদ ইজ্জত আবুল ওয়াফা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল-মারুফ। সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, আরবী কুরআন-সুন্নাহর ভাষা। মহানবী (স)’র বাণী ছিল খুবই অর্থব্যঞ্জক





অথচ সংক্ষিপ্ত। এ ভাষায় অহী নাযিল হওয়ার স্থান সৌদি আরব হওয়ায় আমরা গর্ব অনুভব করি। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক বিদ্যমান। জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে আরবী স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে এ ভাষা আগে থেকেই জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাহন ছিল। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জর্ডানের অধ্যাপক বাস্মাহ তোলায়লান আস্-সালাম, মরক্কোর অধ্যাপিকা হুদা আ‘মারাহ, তিউনেশিয়ার অধ্যাপিকা ওয়াফা আয্-যুহাইলী,





সুইডেনে প্রবাসী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জনাব জুদ্দা আব্দুল্লাহ ও কিরগিস্তানের ড. সাইয়্যেদ ইজ্জত আবুল ওয়াফা।