আমাকে একখানা ঘর দেন বাবা’-এমন আকুতি ৯৪ বয়সী শ্রবণ প্রতিবন্ধী আমেনা বেগমের। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের





পশ্চিম ইচলি তিস্তার চরে পাথারে বাড়ি। অন্যের জমিতে থাকে। দু’পাশে ছোট দুটি ভাঙাচেরা টিনের চালা। সেই ঘরে থাকে ছেলে, ছেলের বউ, মেয়ে ও নাতনি। সীমাহীন কষ্টে কাটছে আমেনার জীবন। শীতে হিম হয়ে যায় আমেনা। জমাজমি নেই। এক ছেলে আমিনুর। সেও বাক





প্রতিবন্ধী। বয়সের ভারে ন্যুয়েপড়া আমেনার জীবন কাটছে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে। স্থানীয় লোকজন জানায়, ছেলের বউ এবং প্রতিবন্ধী ছেলের শ্রম দিয়ে কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের কষ্টের জীবন। তাছাড়া সব দিনেতো আর কাজ পায় না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত একটি





কম্বলও দেয়নি কেউ। মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে একটি ঘরের আবেদন আমেনার। আমেনা বেগমের কষ্টের কথা স্বীকার করে লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তার একটি ঘরের প্রয়োজন। সে একটি কম্বলও পায়নি এমন প্রশ্নের





জবাবে তিনি বলেন, এমন আমেনা অনেক, কাকে রেখে কাকে দেই। সরকারিভাবে মাত্র ৪৬০ পিস কম্বল পেয়েছি।