মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানপ্রবাসী আইয়ুব আলী (৩৯) মা;স্কাট সিটির মাবেলা নামক স্থানে সড়ক দু;র্ঘটনায় নি;হত হয়েছেন। তিনি এক স্থানীয়





নাগরিকের দোকানে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গাড়ি চালানোর বৈধতা (ড্রাইভিং লাইসেন্স) পেয়ে গত বুধবার নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। সেদিনের স্ট্যাটাসে তার বন্ধু স্বজনরা এখনো অভিবাদন জানিয়ে যাচ্ছিলেন। অথচ সেই





স্ট্যাটাসের কমেন্টে নতুন করে লিখতে হচ্ছে ‘ইন্নালিল্লাহ’। সেই লাইসেন্সই কেড়ে নিলো যুবক আইয়ুব আলীর প্রা;ণ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হা;রিয়ে সড়কবাতির সঙ্গে ধা;ক্কা লেগে ঘটনাস্থলে প্রা;ণ হারান তিনি। তার দু;র্ঘ;টনায় মৃ;ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ওমানপ্রবাসী ছোট ভাই ইয়াকুব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমার নিজের





গাড়ি করে আরো এক চাচাতো ভাইকে নিয়ে রুই নামক স্থানে এক প্রতিবেশী ভাতিজাকে দেখতে যাই। তিনি বলেন, আমার ভাই নতুন লাইসেন্স পেয়ে দক্ষ চাল;কের মতো ড্রাইভিং করছিল। প্রায় চল্লিশ কিলোমিটারের প;থ আসা যাওয়া করলেও তার ড্রা;ইভিংয়ে কোনো প্রকার ভুলত্রুটি দেখিনি। তার আর আমার বাসা অনেকটা পাশাপাশি। শুক্রবার ছিল বড় ভাইয়ের (নিহত আইয়ুবের) ছুটির দিন। তাই সে আমাদের বাসায় রেখে





গাড়ি নিয়ে তার বাসার দিকে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সে বাসায় না গিয়ে গাড়িটি নিয়ে প্রধান সড়কে চলে যায়। মাস্কাট-সোহার সড়কের মাবেলা ভিপির পূর্বে সিভ গোল চত্বরে সে প্রা;ণ হারায়। মুহূর্তে পুলিশ এসে তার আরবাবকে (স্পন্সর) ফোন করে বিষয়টি জানালে আরবাব নিজেই আমাকে তার দু;র্ঘট;নার খবর দেন। এসে দেখি তার নিথ;র দেহ প;ড়ে আছে গাড়িতে। মূলত মাথায় প্রচণ্ড যখম হয়।





লা;শ বর্তমানে ম;র্গে রয়েছে। নি;হ;ত আইয়ুব আলী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের গোপালঘাটা গ্রামের মৃ;ত জহরুল ইসলামের প্রথম ছেলে। আড়াই বছর পূর্বে তিনি ওমান আসেন। দেশে তিন বছরের এক কন্যা ও স্ত্রী রয়েছেন। তার এমন মর্মান্তিক মৃ;ত্যু;তে স্বজনদের মাঝে শো;কের ছায়া নেমে এসেছে। ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আইন সহায়তাকারী মাসুদ করিম বলেন,





‘তার দুর্ঘটনায় নিহতের খবর পেয়েছি। লাশ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাস থেকে সকল প্রকার আইনি সহায়তা দেয়া হবে।