ছেলেমেয়ে থাকলে মা-বাবাকে রাখা চলবে না বৃদ্ধাশ্রমে এমন বিধান রেখে নতুন একটি আইন আনতে যাচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য





আসাম। বৃহস্পতিবার রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা। এটি শুভ ইঙ্গিত নয়। ছেলেমেয়েরা যত বাবা-মায়ে সঙ্গে থাকে, ততই সংস্কার শিখবে। বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর সংস্কৃতি চালু হলে সমাজ ভেঙে যাবে।’ খবর আনন্দবাজার





অনলাইনের আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নিরাশ্রয়, যাদের সন্তান নেই, কেবল তারাই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে পারবেন। কিন্তু ছেলেমেয়ে বাইরে চাকরি করে আর মাসে টাকা পাঠিয়ে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দেবে, তেমনটা আসামে চলতে দেওয়া যায় না।
এ নিয়ে কড়া আইন আনা হবে।’ প্রসঙ্গত, আসাম সরকার ইতোমধ্যেই





আইন করেছে, যে সব সরকারি কর্মী বাবা-মার দেখভাল করবেন না, তাদের বেতনের অংশ সরাসরি বৃদ্ধ বাবা-মার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, বয়স্কদের বাড়ি থেকে যেনতেন প্রকারে বের করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া, বাবা-মায়ের সম্পত্তি দখল করা, বাবা-মাকে রাস্তায় বের করে





দেওয়ার ঘটনা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে এ নিয়ে কড়া আইন তৈরি করা দরকার। কিন্তু শহরের একটি পুরনো বৃদ্ধাশ্রমের মালকিন জানান, নিঃসন্তান হলেই কেবল বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে পারবেন, এমন আইন সঙ্গত নয়। অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা স্বেচ্ছায়, স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্যও সন্তানের সংসার ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা পছন্দ করেন। অনেকের ছেলেমেয়ে বাইরে থাকেন। শহরে তাদের পক্ষে একা থাকা, শরীরের যত্ন





নেওয়া, বাজার করে সংসার চালানো সম্ভব হয় না। আইন প্রণয়ন করে তাদের জোর করে বাড়িতে রাখা অন্যায় হবে।