১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশের আ’ইন’শৃ’ঙ্খলা র’ক্ষা’কা’রী বা’হিনী’র সাত সদ’স্যের বি’রু’দ্ধে মা’র্কিন ট্রেজারি





বিভাগ নি’ষে’ধা’জ্ঞা আ’রোপ করে। এই নি’ষে’ধা’জ্ঞার পর বাংলাদেশে চাঞ্চল্য ‘সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে আরও বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর নি’ষে’ধা’জ্ঞা আসবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা প্রতিদিনই প্রকা’শিত হচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো ব্যক্তি





বলার চেষ্টা করছেন, আরও অনেক ব্যক্তির বি’রু’দ্ধে নি’ষে’ধা’জ্ঞা আ’রো’প করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর সংগ্রহ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কারো বিরু”দ্ধেই নি’ষে’ধাজ্ঞা’ আ’রো’প করছে না। বরং বাংলাদেশের ‘আইনশৃঙ্খ’লা র’ক্ষাকা’রী বা’হি’নীর যে সাত কর্মকর্তার





ওপর যে নি’ষে’ধা’জ্ঞা আ’রো’প করা হয়েছিল, সেই বিষয়টি পুন:বিক্ষন এবং পর্যালোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৮৭জন নি’খোঁ’জ ব্যক্তির একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল এবং এই তালিকায় নি’খোঁ’জ ব্যক্তিরা কিভাবে নি’খোঁ’জ হয়েছে, সে স’ম্পর্কে জা’নতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়





এই বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কোনো রকম স’দুত্তর পাওয়া যায়নি বলে পর’রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। মাত্র সাতজন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া গেছে। এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবার এ ব্যাপারে তা’গা’দা দিয়েছে। এই নি’খোঁ’জ ব্য’ক্তিদের অবস্থা কি, তা





জানার জন্য আইন, স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথ’ভাবে কাজ করছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে যাদের ওপর নি’ষে’ধা’জ্ঞা আ’রো’প করেছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের নি’ষে’ধা’জ্ঞা প্র’ত্যা’হারে’র জন্য মার্কিন প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজে বিষয়টি দেখছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে এ নিয়ে কথা





বলেও জানা গেছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সাতজনের এই নি’ষে’ধা”জ্ঞার বিষয়টিকে নিয়ে এখন নানার’কম রং চ’ড়ানো হচ্ছে। এই ‘নিষে’ধাজ্ঞা’ই শেষ নয়, আরও নি’ষেধা’জ্ঞা আ’রো’প করা হতে পারে। একাধিক ব্যক্তি নি’ষে’ধা’জ্ঞার আও’তায় আসতে পারে, ইত্যাদি নানা রকমের কথা’বা’র্তা বলা হচ্ছে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের





ঘনিষ্ঠসূত্রগুলো এ ধরণের বক্তব্যকে অস্বীকা’র করেছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহা’য়তা করে। এরমধ্যে আ’ইনশৃঙ্খ’লা র’ক্ষা’কারী বা’হি’নীকে’ও সহায়তা করে, তাদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই সমস্ত সহায়তা দেওয়ার আওতায় মার্কিন যুক্তরা’ষ্ট্রের কিছু বি’ধিনি’ষে’ধ থাকে। সেই বি’ধি’নি’ষেধের মধ্যে বিচার ব’হির্ভূ’ত





হ’ত্যা’কা’ণ্ড যেন না হয়, সেটি অন্যতম। আর সে কারণেই কক্সবাজারের পৌর কাউন্সিলর একরামের বিচার ব’হির্ভূ’ত হ’ত্যা’কা’ণ্ডের বিষয়েই ‘তদ’ন্ত করতে গিয়ে একাধিক সংগঠন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশকিছু অ’ভি’যো’গ পায়। এসব অ’ভি’যো’গের ভিত্তি’তেই সাত কর্মকর্তার ওপর নি’ষে’ধা’জ্ঞা আ’রো’প করা হয়েছে। তবে এ





ধরণের নি’ষে’ধা’জ্ঞা’গুলো প্রতিনি’য়ত পরিব’র্তনশীল। বাংলাদেশ যদি উপ’যুক্ত তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারে এবং এই সম্পর্কে সুনিশ্চিত ব্যাখ্যা দিতে পারে, তাহলে এ নি’ষে’ধা’জ্ঞা’গু’লো থাকবে না। পাশাপাশি এই ‘নিষে’ধা’জ্ঞার ধারায় অন্য কোনো নি’ষে’ধা’জ্ঞা আ’রো’পে’র কোনো পরিকল্পনা মার্কিন প্রশাসনের নেই বলেই বিভিন্ন সূত্রগুলো জানাচ্ছে। তবে একটি বিষয়





নিশ্চিত যে, সাম্প্র’তিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ইস্যু’তে বাংলাদে’শের ওপর চা’প সৃ’ষ্টির চে’ষ্টা করছে এবং মার্কিন প্রশাসনের ভিতর বাংলাদেশ রাষ্ট্র’বি’রো’ধী লবিস্ট’রা অ’ত্যন্ত স’ক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কাজেই নি’ষে”ধাজ্ঞা না হলেও মা’র্কিন যু’ক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর আরও বিভিন্ন বিষয়ে চাপ’ প্রয়োগ করবে, এটি মো’টামু’টি নিশ্চিত।