চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে ফের বো;;মা ফা;টালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরুষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে





এই অভিনেত্রী জানালেন, চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সদ্য বিদায়ী সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান তার বুকে পি;স্ত;ল ঠেকিয়েছিলেন। পপির সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ভিডিওতে পপি বলেন, ‘জায়েদ খান একটা পি;স্ত;ল কেনার জন্য আমার কাছে টাকা ধার নিয়েছিল৷





সেই টাকা দিয়ে সে পি;স্ত;ল কিনেছে। আমি একটা জায়গায় শুটিং করছিলাম, শুটিংয়ে গিয়ে সে বলল একটা কথা আছে, জরুরি কথা। শুটিং শেষ করে গাড়িতে বসলাম। সে হঠাৎ করেই আমার কানের পাশ দিয়ে ধম ধম করে গু;;লি ফো;টালো। ভ;য় পেয়ে গেলাম খুব, আমি তো এসব দেখে অভ্যস্ত না। একটু পর নাকি সেই পি;স্ত;লের নল পপির বুকে





ঠেকিয়ে দেন জায়েদ খান৷ এরপর পপি বলেন, ‘পি;স্ত;লের নলটা বুকে ঠেকিয়ে দিয়ে সে বললো, বেশি বাড়বাড়ি করার দরকার নেই, যতটুকু পারো কাজবাজ করে চলচ্চিত্র থেকে বেরিয়ে যাও। আমাকে বিভিন্ন রকম হু;ম;কি-ধা;মকি দিতে থাকল। আমার ভাই-বোন নিয়ে মোটামুটি একটা থ্রেটই দিলো। আমার ভাই ছোট, বলল তার নামে কেস করা হবে, বিভিন্ন জায়গায়





ফাঁ;;সিয়ে দেওয়া হবে। বোনরা বিয়ে শাদি করে নাই, তাদেরও প্রবলেম হবে। ’ এ বিষয়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পপি বলেন, ‘হ্যাঁ, যোগাযোগ করেছিলাম। কেউ আগায় কেউ আগায় না। ইন্ডাস্ট্রিকে মোটামুটি জবরদখলের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। সবাইকে ভ;য় দেখায়, প্রশাসন তার হাতে। কিছু হলে





প্রশাসনের ভ;য় দেয়, কিছু হলে থানার ভয় দেখায়। কোর্ট কাছারির ভ;য় দেয়। আমি তো আসলে মেয়ে মানুষ। আমি এখানে কাজ করতে এসেছি। আমার পেশা অভিনয় করা, কারো সাথে যু;;দ্ধ করা না। আমি কোনোদিন পার্টি বা আড্ডাবাজি করিনি। আমি ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড একটা মানুষ, কাজ শেষ করেছি ঘরে চলে এসেছি। ’ পপি আরো বলেন, এসব ঘটনার





কথা তিনি সিনিয়র শিল্পীদের জানিয়েছিলেন৷ এমনকি এর মধ্যে ছিলেন মিশা সওদাগরও৷ এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সিনিয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা আমাকে স্ট্রেইট বলেছে, আমরা এসব কিছু জানি না। আমার কাছে ঐ মুহূর্তে মনে হয়েছে চলচ্চিত্র অভিভাবকশূন্য। আমি সেসময় কাউকেই পাশে পাইনি। আমি অনেক সাংবাদিককে বলেছি, আমাকে পলিটিকসের শিকার করা হচ্ছে।
ইভেন আমি মিশা ভাইকেও জানালাম। আমাদের যে কমিটি ছিল তাদের সবাইকে জানালাম। যখন বিষয়গুলো জানাজানি হয়ে গেল তখন মিশা ভাই বললো, জায়েদ তুমি পপির কাছে মাফ চাও। সে লোকসম্মুখে আমার কাছে দু হাতজোড় করে মাফ চাইলো, হ্যাঁ আমি এগুলো করেছি আর করব না। ‘