সিলেটে পারিবারিক ক’লহের জে’রে নিজের দেড় বছর বয়সী শিশুকন্যাকে শ্বা’সরোধ করে হ’ত্যা’র পর পুলিশের কাছে আ’ত্মসম’র্পণ করেছেন নাজমিন আক্তার (২৮) নামে





এক কাতার প্রবাসীর বউ। বুধবার সকালে সিলেট শহরতলীর শাহপরান নিপোবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহ’ত শিশুর নাম সাবিহা। জানা গেছে, বুধবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে নাজমিন তার মেয়ে সাবিহাকে বালিশচা’পা দেন। এ সময় সাবিহার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উ’দ্ধার করে। পরে সাবিহাকে





সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন নাজমিনের বোন। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। এ সময় নাজমিনও হাসপাতালে আসেন। পরে তিনি হাসপাতালে পুলিশের কাছে আ’ত্মসম’র্পণ করলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় গণমাধ্যমের সামনে তিনি মেয়েকে হ’ত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।





পুলিশ জানায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কালিকৃষ্ণপুর এলাকার নাজমিনের সঙ্গে একই উপজেলার বলদি ইউনিয়নের সাব্বির আহমদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তারা শাহপরান নিপোবন এলাকায় বসবাস করে আসছেন। নাজমিন একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তার স্বামী সাব্বির কাতার প্রবাসী। এর আগে





নাজনিনের একটি বিয়ে হয়। সেই সংসারেও তার একটি সন্তান রয়েছেন। সিলেট কোতোয়ালি থানায় নাজমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ের পর আমার স্বামী কাতার চলে যায়। চার বছর সেখানে থাকা অবস্থায় সে আমার ভরণ পোষণ দেয়নি। আমি স্কুলে শিক্ষকতা করে এবং টিউশনি করে চলেছি। পরে দেশে ফিরে আমাকে অনেক বুঝিয়ে আবার





সংসার শুরু করে। তখন আমি গর্ভব’তী হই। আমাকে গর্ভবতী রেখেই সে আবার কাতার চলে যান।’ নাজমিন অভি’যোগ করে বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে সাব্বির অভি’যোগ তুলে আমার গর্ভের সন্তান তার নয়। আমি তখন ডি’এনএ টেস্টর কথা বলি। কিন্তু সাব্বির ও তার তার পরিবার তা না করে আমার বিরু’দ্ধে কুৎ’সা র’টাতে থাকে। আল্লাহর কি রহমত





জন্মের পর দেখা গেল মেয়ের চেহারা অবিকল সাব্বিরের মতো। চোখ, ঠোট, মাথার চুল, হাসি সব একই রকম। তিনি আরও বলেন, ‘সাব্বির ১৫ দিন আগে দেশে এসেছে। কিন্তু একবারও মেয়েকে দেখতে আসেননি। বরং আমার বিরু’দ্ধে নানা অ’পপ্রচার করছেন। এই দুঃখে আমি আমার মেয়েকে হ’ত্যা’ করেছি।’ মেয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে





তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে ফাঁ’সাব না। সাব্বিরকেও ফাঁ’সাব না। তাকে ফাঁ’সালেও সে অল্প শা’স্তিতে পার পেয়ে যাবে। তার বিচার আল্লাহ করবেন। আমি আমার মেয়েকে খু’ন করছি। আমার ফাঁ’সি হোক।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক কল’হ





থেকেই এ হ’ত্যা’র ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। শিশুটির মা নাজমিন মেয়েকে হ’ত্যা’র কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। যেহেতু হ’ত্যা মাম’লার মতো ঘটনা আমরা তাকে আট’ক করেছি। তার স্বামীও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রেখেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ মাম’লার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা যেহেতু শাহপরান থানা এলাকায় থাকেন। আমরা সেই থানাকেও অবগত করেছি। তারা আসছেন।’