ত্যু এগিয়ে আসছে! চিকিৎসক হয়ে সেই ‘দেওয়াল লিখন’ হয়তো আগেই পড়ে ফেলে’ছিলেন। আর তাই হয় তো সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালেও
সেই কথা লিখে দিয়েছিলেন। ফেসবুকে মৃ’ত্যু’র ইঙ্গিত দেওয়ার পরের দিনই করো’নায় মা’রা গেলেন মুম্ব’ইয়ের (Mumbai) এক মহিলা চিকিৎসক। তাঁর সেই হৃদয় বিদারক পোস্ট এই করোনা কালে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। বছর একান্নর মণীষা
যাদব মুম্বইয়ের শিবড়ি টিবি হাসপাতালের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন। সোমবার করোনায় তাঁর মৃ’ত্যু হয়। আর মৃ’ত্যুর আগের দিন রবিবার তিনি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, “এটাই হয়তো শেষ সকাল। এই প্ল্যা’টফর্মে আমি হয়তো আপনাদের সামনে আর আসতে পারব না। সবাই ভাল থাকুন। শরীর মারা যায়, আ’ত্মা নয়।
আত্মা অমর।” মণীষা এক দিকে চিকিৎসা অন্য দিকে হাসপাতালের প্রশা’সনিক কাজ কর্ম দক্ষতার সঙ্গে সামলাতেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তিনিই শেষ পর্যন্ত করো’নার কাছে হেরে গেলেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসো’সিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী শুধু মহারাষ্ট্রেই ১৮ হাজার চিকি’ৎসক করোনা আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ১৬৮ জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বুধ’বার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্র’কের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসং’খ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪১ জন করোনা (Corona virus) আক্রা’ন্ত হয়েছেন। আক্রা’ন্ত’দের বে’শির ভাগই মহা’রা’ষ্ট্রের। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ১৬ হাজার ১৩০ জন। এদিকে একদিনে এই মা’রণ ভাই’রাসে প্রা’ণ হারা’লেন ২,০২৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করো’নার বলি ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৫৩ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যা’কটিভ কেসও। বর্তমানে করো’নার চিকি’ৎসাধীন ২১ লক্ষ ৫৭
হাজার ৫৩৮ জন। মহা’রাষ্ট্র ছা’ড়াও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্ত’রপ্রদেশ, দিল্লি, পা’ঞ্জাব, কর্ণাটক, ছত্তি’শগড়ের মতো রাজ্যও।
ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারে ছিদ্র হয়ে দমবন্ধ হয়ে ২২ করোনা রোগী মৃত্যু হয়েছে।এনডিটিভি ও বিবিসি জানায়,
বুধবার (২১ এপ্রিল) মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার জাকির হোসেন হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার রিফুয়েলিংয়ের সময় ঘটেছে এ মর্মান্তিক ঘটনা।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নাসিকের এই হাসপাতালটি শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসার দেয়া হয়। সেখানে ভর্তি রোগীদের
মধ্যে প্রায় দেড়শ জন ছিলেন ভেন্টিলেশনে, অর্থাৎ গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাদেরকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। ট্যাঙ্কারের ছিদ্র দিয়ে অক্সিজেন বেরিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল হাসপাতালটিতে। এই সময়ের মধ্যেই তাদের মৃত্যু ঘটে। মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি,
ট্যাঙ্কারের ছিদ্র দিয়ে অক্সিজেন বেরিয়ে যাওয়ায় হাসপাতালটিতে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল। এ কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।’ এদিকে বিবিসি মারাঠিকে সাক্ষাতকার দেয়া মৃতরোগীদের এক আত্মীয় জানান, আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। যার কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তার শস্তি দাবি করছি। এদিকে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ দ্রুত দমকল বাহিনীর সহযোগিতা চাইলে বাহিনীর সদস্যরা এসে ট্যাঙ্কারের ছিদ্র বন্ধ করেন। এই সময়ের মধ্যেই মারা গেছেন ২২ রোগী।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভেন্টিলেশনে থাকা ৩১ রোগীকে ইতোমধ্যে নিকটস্থ অপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সিটি কর্পোরেশনের
কমিশনার কৈলাশ যাদব জানিয়েছেন, মর্মান্তিক এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো তার তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সৌদি আরব ঈদুল ফিতরের পর পরই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে।সৌদির করোনা মোকাবিলা কমিটির সেক্রেটারি ডা. তালাল আল-
তুয়াইজরি জানিয়েছেন, আগামী ১৭ মে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ফের চালুর দিন নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ঘোষিত তারিখের আগেই সব কিছু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা হবে।তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের
ভয়াবহতা বিবেচনা করে দেশবাসীকে অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার আহ্বান জানান। ভ্রমণের আগে টিকাগ্রহণের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে ডা. তালাল জানান, সৌদিতে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং সেগুলো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর আগেই ঘোষণা করা হবে।এ কর্মকর্তা জানান, ২০২১ সালের মধ্যেই সৌদিতে ৭০ শতাংশ
মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পপনা রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেই সৌদির স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে।
কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশ। রোজ হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি মৃত্যুও তিন অংকে গিয়ে ঠেকেছে। করোনা আঘাত
হেনেছে জাতীয় সংসদেও। চলমান সংসদের একশ’রও বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।সংসদ সচিবালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য। জাতীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে সর্বশেষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজশাহীর এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। তাকে নিয়ে মোট
১০৯ জন করোনায় আক্রান্ত। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে মহামারিতে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে একজন করে সংসদ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর জুনে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ জনে। জুলাইয়ে ৬ ও আগস্টে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৫ জন করে শনাক্ত হলেও নভেম্বরে সর্বোচ্চ
২২ জনের করোনা শনাক্ত হয় । এরপর টানা তিন মাস এটি কমতে থাকে। ডিসেম্বরে ৮ জন, জানুয়ারিতে ৩ ও ফেব্রুয়ারিতে ৬ জন সংসদ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়। এ বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে ১৪ জন সাংসদ আক্রান্ত হন এতে। আর চলতি মাসে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। সংসদ সচিবালয় সূত্র বলছে, প্রতিটি সংসদ অধিবেশনের আগে সবার করোনা পরীক্ষা করাটা বাধ্যতামূলক।
এতে দেখা গেছে, উপসর্গ ছাড়াও অনেকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ সংসদ অধিবেশন বসে ১ এপ্রিল। এর আগে করোনা নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন শনাক্ত হন। এ ছাড়া ১৭ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে বাধ্যতামূলক নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে কারও কারও করোনা শনাক্ত হয়।
এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৫ মার্চ নমুনা পরীক্ষা করার পর ২৬ মার্চ করোনা শনাক্তের তথ্য পান গাজীপুর-৪ আসনের সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি। নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিতভাবে করোনায় আক্রান্তদের পাশে থেকে এক বছর ধরে কাজ করেছেন তিনি।সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত অন্তত ১০৯ জন সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন। আর মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ সদস্য, এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ১২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ১৩ জুন মারা যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোহাম্মদ নাসিম। একই দিনে মারা যান টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম
প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ। আর জুলাইয়ে মারা যান নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম। সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল মারা গেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি আবদুল মতিন খসরু। এর আগে গত মাসে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
আর এমপিদের মধ্যে প্রথম করোনায় সংক্রমিত হন নওগাঁ-২ আসনের এমপি হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশে চলমান করোনা সংকটে অনেকের আর্থিক সমস্যার কথা
জানিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত মেসে ভাড়া থাকা শিক্ষার্থীরা ভাড়া মওকুফের দাবী জানিয়ে আসছে।এ নিয়ে গত ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মেসভাড়ার বিষয়টির সুরাহাকল্পে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। তবে কমিটি গঠনের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও কমিটির
পক্ষ হতে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।পড়াশোনার জন্যে দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে বসবাস করতে ভাড়া বাসা বাড়ি এবং মেসে। আবাসন সংকট থাকায় অনেকের জায়গা হয় না হলগুলোতে ফলে বাধ্য হয়ে বসবাস করতে হয় এসব স্থানে।এদিকে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস বা ভাড়া বাসা
ছেড়ে চলে এসেছে নিজের বাড়িতে। না থেকেও মাসে মাসে ভাড়া দিতে হচ্ছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে এসব শিক্ষার্থীর উপর।এমন ই এক শিক্ষার্থী নোয়াখালীর পলাশ। রাজধানীর বেসরকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থী ১৯ ই মার্চ ঢাকা ছেড়ে নিজের এলাকায় চলে আসে। কিন্তু চলে আসলে প্রতি মাসে মেসের সিট ভাড়া দিতে হয় তাকে।
মেসের মালিক জয়নাল তাকে ভাড়ার জন্যে চাপ দিতে থাকে। গত দুই মাসের সিট ভাড়া দিতে পারলেও এই মাসে পলাশ সাফ জানিয়ে দেয় তার হাতে আর টাকা নেই।পলাশ আকুতি মিনতি করে জয়নাল যেন তাদের সিটভাড়া মাফ করে দেয় সে আর মেসের সিট ভাড়া দিতে পারবে না।কিন্তু মেসের মালিক জয়নাল কোনভাবেই সিট ভাড়া মাফ করবে না। যদি সিট ভাড়া না দেয় তবে তাদের সব মালপত্র বিক্রি করে টাকা
পয়সা আদায় করে নিবে বলে হুমকি দেয় মেস মালিক জয়নাল।পলাশ এতেই যেন ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে প্রেমের অভিনয় করে জয়নালের ছোট মেয়েকে সুমাইয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে দুজন বিয়ে করে ফেলে। জয়নাল এই ঘটনায় এই মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে মেনে নেয় নি। উলটো মেস মালিক জয়নাল মেয়ের জামাই পলাশ এর বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। এদিকে ঘটনার পর পলাশ ও মেসের মালিকের মেয়ে সুমাইয়া পলাতক রয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে সুমাইয়া ইমুতে বাসায় ভিডিয়ো কল
করে বাসার সব খোজ খবর নিচ্ছে। তার বাবাকে যাতে বুঝিয়ে বলে, তাদের মেনে নিতে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাভাবিক মানুষের ম;তো চলা;ফেরা ;করলেও মৃ;ত;দের তালিকা তার নাম। নিজেকে জী;বিত ;প্র;মাণ করতে দীর্ঘ নয় বছর ধরে সরকারি
বিভিন্ন দফতরে ছুটে বেড়াচ্ছেন নেত্রকোনা মদনের আব্দুল আওয়াল। আওয়াল মদন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলুর রহমানের ছেলে।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও গরমিলের এই হিসাব দানা বাঁধে ২০১২ সালে । ওই
বছর নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরপরই মৃতদের তালিকায় যুক্ত হয় তার নাম। তালিকায় নাম আসার পর দীর্ঘ ৯ বছর পার হলেও মিলেনি প্রতিকার। লম্বা এই সময় ধরে নানা সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি চাকরির সুযোগও হয়েছে হাতছাড়া । এছাড়াও সারাদেশে চলমান করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত।
টিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয় পত্রে মৃত উল্লেখ থাকায় টিকা নিতে পারেননি তিনি। তবে ২০১৪ পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে জীবিত থাকার একটি প্রত্যয়ন নিয়ে কোনোরকমে সাধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে । সম্প্রতি জীবিত থেকেও মৃ;ত এই নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় উঠে
এসেছেন আওয়াল। অনেকেই এই সাক্ষাৎকার ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ;পপ্র;চার করায় দুঃ;খ প্র;কাশ করেন তিনি ।
আব্দুল আওয়াল জানান, বছর ধরে আবেদন করে উপজেলার নির্বাচন অফিসে ঘুর;ছি শুধু নিজেকে জী;বিত প্রমাণ করতে। আর দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারাও আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন তালিকা সংশোধন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই তালিকা সংশোধন হয়নি। আর এই তালিকা সংশোধন হয় কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের জটিলতার জন্য আমি সরকারি আবেদনসহ কোনো ধরনের আবেদন করতে পারছি না। আমার সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। আমার বাড়িটিও খারিজ করা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। আমি আজ সমাজে জীবিত থাকলেও কাগজে মৃ;ত আছি। কেনো আমাকে ভোটার তালিকায় কর্তন করা হলো বিষয়টি
তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপ;ক্ষের আশু হ;স্ত;ক্ষে;প কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, গত ২/৩ দিন আগে আমার বিষয়টি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভ অনুষ্ঠানে দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয় । আমি নিজেও এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আমার সমস্যাগুলো তুলে ধরি। তবে অনুষ্ঠানের অল্প কিছু অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যঙ্গ অনেকেই অপপ্রচার করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল মাহবুব আলম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একজন মানুষ জীবিত থাকা সত্ত্বেও তার ভোটার আইডি মৃ;ত বহন করতে হচ্ছে, মানতে পারছি না। উপজেলা নির্বাচন অফিস দ্রুত ব্য;বস্থা নেবে বলে আমি মনে করছি। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হামিদ ইকবাল বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে জানান, ২০১২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিক আওয়ালকে হয়তো মৃ;ত উল্লেখ করেছেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি নতুন যোগদান করেছি।
আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তিনি লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি হেড অফিসে কথা বলবো।
লাকসাম পৌরশহরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়া বাসা নিয়ে চলছে দে’হব্য’বসা’। এ ঘটনায় খ’দ্দে’রসহ ৪ জনকে আট’ক করেছে লাকসাম
থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে পৌরসভার দরগাহ রোড পশ্চিমগাও এলাকায়। এ ঘটনায় নিয়ে এলাকায় তো’লপা’ড় সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আবু সায়েদ বাচ্চু থানায় ফোন করলে পুলিশ ঘটনার স্হলে এসে “মজুমদার ভিলা” নিচতলায়
ত’ল্লা’শি করে। এ সময় ভাড়াটিয়া স্বামী-স্ত্রী, দে’হব্য’বসা’য়ী তরুণী ও একজন খ’দ্দে’রসহ ৪ আট’ক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, পৌরশহরে পশ্চিমগাও দরগাহ রোড হোল্ডিং নং ১৫৮ বাসা নং ৩ সি, আলহাজ্ব হাবিবুল হক “মজুমদার ভিলা” গত কয়েক মাস ধরে নিচতলায় বাসাভাড়া নিয়ে থাকেন মহিন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী।
ভাড়াটিয়া মহিন উদ্দিন তার বাসায় অনেকদিন হতে পরিচিত ও অপ’রিচিত অনেক লোক ও পুরুষ-মহিলারা যাতায়াত করতো। এলাকাবাসী প্রথমে সে রকম কিছু মনে করিনি, ধীরে ধীরে তাদের ওই বাসায় স’ন্দে’হ হয়। সোমবার বিকালে তাদের বাসায় অপরিচিত দুইজন পুরুষ প্রবেশ করে অ’সা’মাজিক কা’র্যকলা’পে লি’প্ত হয়। তাদের বাসায় দে’হব্য’বসা চলতে দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদেরকে হা’তে না’তে ধরে পুলিশ
খবর দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বা’সিন্দা বলেন, একশ্রেণীর দা’লা’ল প’তি’তাদের চু’ক্তি করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহর থেকে বাসা বাড়িতে নিয়ে আসে। আবার ভা’ড়া’টিয়া দা’লালদের সঙ্গে চু’ক্তি করে কতজন নারী প’তি’তার চাহিদা রয়েছে। অনেক দা’লাল নিজেরাই লাকসাম শহরে অনেক বাসা ভাড়া করে ‘দে’হ
ব্যব’সা চালিয়ে যাচ্ছে। রাখছেন অনেক সুন্দরী তরুণী। স্থানীয় কাউন্সিল আবু সায়েদ বাচ্চু বলেন, ভা’ই’রা’সের কারণে সারাদেশে বর্তমানে ল’কডা’উন চলছে। দেশের মানুষ আত’ঙ্কে বসবাস করছে আর কিছু মানুষ পাপ কাজ করে আমাদের সমাজটাকে পা’পি বানাইছে। সমাজের ছেলে মেয়েদের ন’ষ্ট করছে তারা, আমরা এর কঠিন থেকে কঠিন বি’চারের দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনায় সোমবার রাতে লাকসাম থানার উপপরিদর্শক মনোজ কান্তি কুরি বলেন, এলাকাবাসীর সহোযোগিতায় ওই বাসায় থেকে একজন দে’হ ব্য’বসা’য়ী তরুণী,
ভাড়াটিয়া মহিন উদ্দিন ও তার স্ত্রী এবং একজন পুরুষকে আ’টক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাম’লা চলমান রয়েছে।
তৃতীয় ছেলের বাবা হয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি নবজাতকের নাম রেখেছেন তার দাদা ও সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা
আব্দুল আজিজের নামে। মঙ্গলবার গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, যুবরাজ সালমান তিন ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা। গত শনিবার আব্দুল আজিজের জন্মের পর রাজ-দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাজারো বার্তা আসতে থাকে। সালমানের ভাই প্রিন্স সৌদ টুইটারে লিখেছেন, ‘আল্লাহ
নবজাতককে সুখী করুন, তার প্রতি সদয় হন এবং তাকে তার মা-বাবার আনন্দের উৎসে পরিণত করুন।’
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ফ্রান্সে চলমান লকডাউনের বিভিন্ন বিধি-নিষেধের প্রতি এক অভিনব প্রতাবাদ জানিয়েছেন দেশটির ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ীরা। চলমান লকডাউনে ফুলবিক্রেতা, বই বিক্রেতা, হেয়ারড্রেসার এবং এমনকি রেকর্ড স্টোরকে ফ্রান্সের প্রয়োজনীয় ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে বাদ পড়েছে পোশাক খাত। তাই লকডাউনের মাঝেও পোশাকের গুরুত্ব বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী জ্য ক্যাস্টেক্সের কাছে
অন্তর্বাস পাঠিয়ে লকডাউনের ঐ বিধি-নিষেধের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, লকডাউনের কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। তাই সরকার যেসব ক্ষেত্রগুলোকে বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত বলে ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে অন্তর্বাস বিক্রি ব্যবসাকেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। জানা যায়, ‘চিকি অ্যাকশন’ নামে একটি গ্রুপ অভিনব
পদ্ধতিতে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। গ্রুপটির নিজস্ব ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর আগে অন্তর্বাসের ছবি ও চিঠিগুলো পোস্ট করা হয়েছে। এক দোকানমালিক দুটি অন্তর্বাস পাঠিয়েছেন এবং যার মধ্যে লিখে দিয়েছেন, ‘আমি প্রয়োজনীয়।’
একটি চিঠিতে গ্রুপটি তাদের দাবির পক্ষে লিখেছে, ‘এই চিঠির
সঙ্গে আপনি একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাবেন যা আপনার সরকার অপ্রয়োজনীয় বলে বিবেচনা করেছে: অন্তর্বাস। এটি কি স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষার প্রশ্ন নয়?’ তারা আরও লিখেছেন, ‘ফুলবিক্রেতা, বই বিক্রেতা হেয়ারড্রেসার এবং এমনকি রেকর্ড স্টোরকে ফ্রান্সের প্রয়োজনীয় ব্যবসা
হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাহলে অন্তর্বাসের কী দোষ হলো? এগুলো মানুষের কি স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষার বিষয় নয়?’
তিলোত্তমা শিকদার অনেকেরই পরিচিত মুখ। বিশেষ করে ছাত্রলীগের সবাই তাকে চেনেন। তিনি ডাকসুর সদস্যও। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার
পাশাপাশি ডাকসুর নেত্রী হওয়ায় বিভিন্ন সময় আ;লোচনায় ছিলেন তিনি। এবারের রমজান মাসে অন্যরকম এক মানবিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী তিলোত্তমা শিকদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক তিলোত্তমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীদের উপ- সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। থাকেন কবি সুফিয়া কামাল হলে। করো’নাভাই’রাস ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণার ৩-৪ দিন আগে চলে যান নিজ শহর বরিশালে। ভাবতে পারেননি এতদিন লকডাউন থাকবে; তাই চাইলেও এখন ঢাকায় আসতে পারছেন না তিনি। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে
রমজান মাস। লকডাউনে নিম্নআয়ের অনেক মানুষ সেহরি না খেয়েই রোজা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। অনিশ্চিত তাদের ইফতারের আয়োজন। এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ডাকসুর সদস্য ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তমা শিকদার। প্রথম রমজান থেকে নিজের বাসায় রান্না শুরু করেছেন ইফতার। বাসায় তৈরি করা ইফতার নিয়ে ছুটছেন বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায়। প্রথম রমজান থেকে শুরু করা এই ইফতার আয়োজন চলবে শেষ
রমজান পর্যন্ত। সনাতন ধ’র্মাবলম্বী একটি মে’য়ের এমন মানবিক উদ্যোগ যেন সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। শুধু তাই নয়; লকডাউনের কারণে বিপদে পড়া ছাত্র-ছা’ত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিলোত্তমা শিকদার। ঢাবির ছাত্রদের মধ্যে যারা লকডাউনের কারণে টিউশনি বা বিকল্প আয়ের পথ হারিয়ে বিপদে পড়েছেন তাদের নাম সংগ্রহ করে সহযোগিতা করছেন তিলোত্তমা। দেশের বিভিন্ন স্থানে
ছড়িয়ে থাকা ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছেন তিনি। নিজ হল এবং আশপাশে যারা বিভিন্ন বাসায় আ’ট’কা পড়েছেন; তাদের জন্য ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই লিটার তেল ও আটা উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছেন তিলোত্তমা। ফোনে এবং বিকাশে টাকা পাঠিয়ে এসব উপহার সামগ্রী কিনে তা পাঠিয়ে দিচ্ছেন ছাত্র-ছা’ত্রীদের বাসায়। ইতোমধ্যে ২১ জন ছা’ত্রী এবং
১১ জন ছাত্রকে দুই হাজার টাকা করে বিকাশে পাঠিয়েছেন তিনি; যেন তারা করো’নাভাই’রাসের সংকটে মনোবল না হারায়।এসব বিষয়ে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’র্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তিলোত্তমা শিকদার। তিলোত্তমা বলেন, ভেবেছিলাম ঢাকায় ফিরব। কিন্তু লকডাউনের কারণে আ’ট’কা পড়েছি। আ’ট’কা পড়লেও সহপাঠী,
ছোট ভাই-বোনদের বিপদে পাশে আছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাইলে সবসময় মানুষের পাশে থাকা যায়। এজন্য মানবিক হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, লকডাউনের শুরুতে বিপদে পড়ে আমা’র নিজ হল অর্থাৎ কবি সুফিয়া কামাল হলের কিছু ছা’ত্রী। আমি সবাইকে জানাই; যাদের সমস্যা হচ্ছে আমাকে বলার জন্য। আমি গো’পনে সহায়তা পৌঁছে দেব। সেখান
থেকে প্রায় ১০০ জনের নাম আসে। আমি যেহেতু এখানে আ’ট’কা পড়েছি; তাই সংগঠনের ছোট দুই ভাই এবং এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় গো’পনে ১০০ জনের কাছে খাদ্যসামগ্রী পাঠাই। এরপর আরও বেশ কিছু বার্তা পেয়েছি; যারা বিভিন্ন মেসে আ’ট’কা পড়েছে তাদের। তাদেরও সহায়তা করেছি। পাশাপাশি পরিচিতদের মাধ্যমে অনেকের জন্য গো’পনে খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছি।
তিলোত্তমা শিকদার বলেন, এর মধ্যে এমন কিছু ছাত্র-ছা’ত্রীর খবর পেয়েছি; যারা টিউশনি করে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজের পরিবার চালায়। এমন ২১ জন ছা’ত্রী এবং ১১ জন ছাত্রকে বিকাশে দুই হাজার টাকা করে দিয়েছি। যদিও এই টাকা কিছুই না। কিন্তু আমা’র সাম’র্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পেরেছি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এসব ছাত্র-ছা’ত্রীর অনেকেই এখন পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে রয়েছেন।
তিলোত্তমা আরও বলেন, বেশি মেসেজ পাচ্ছি মে’য়েদের। কারণ মে’য়েরা সবার কাছে সমস্যার কথা বলতে পারে না। যারা শেয়ার করেছে তাদের কাছে ভালোবাসার উপহার পৌঁছে গেছে। ইতোমধ্যে ডাকসু থেকে শিক্ষার্থী সহায়তার ফান্ড চালু হয়েছে। আমা’র কাছে যারা সাহায্য চেয়েছেন সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। শেষ পর্যন্ত সবার পাশে থাকতে চাই আমি।
ঢাবির সব শিক্ষার্থী নিরাপদে থাকুন, এটাই চাই। করো’নার ভ’য় কে’টে যাবে। আবার আম’রা স্বাভাবিক জীবনে ফিরব- সেটাই প্রত্যাশা। তিলোত্তমা বলেন, এরই মধ্যে শনিবার থেকে শুরু হলো রমজান মাস। ধ’র্মপ্রা’ণ মু’সলমান একটা বছর অ’পেক্ষা করে রমজানের জন্য। কিন্তু এবার রমজানের আগে থেকেই শুরু হয়ে গেল করো’না। এর প্রভাব পড়েছে রমজানের ওপর। এ অবস্থায় করো’নার সংকটের কারণে অনেকের বাসায় ইফতারের ব্যবস্থা নেই। অনেকের ঘরে খাবার নেই। তাই প্রথম রমজান থেকে বাসায় ইফতার তৈরি করে
রাস্তায় বের হয়েছি। সামাজিক দূরত্ব মেনে শতাধিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছি শনিবার। তিনি বলেন, এই ইফতার বিতরণ আমা’র কাছে জীবনের অন্যতম আনন্দের এক মুহূর্ত মনে হয়েছে। কারণ এসব মানুষ ইফতার পেয়ে যে খুশি হয়েছেন তা দেখে আমা’র মন ভরে গেছে। আমা’র জীবন ধন্য হয়ে গেছে। আমা’র মন চায় এসব মানুষকে আরও দেয়ার, আরও সহযোগিতা করার। যদি প্রতিদিন এক হাজার মানুষকে ইফতার দিতে পারতাম আরও বেশি তৃপ্তি পেতাম। মনের তৃপ্তির জন্য এবার পুরো মাস দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করব।
ইফতার বিতরণ করতে গিয়ে এমন কিছু মানুষ পেয়েছি যারা সাহরি না খেয়েই রোজা রেখেছেন। আমি চেষ্টা করছি, আমা’র আয়োজনটা আরেকটু বড় করার। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় জাগো নিউজকে বলেন, খুবই ভালো কাজ করছেন তিলোত্তমা। এলাকার মানুষের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছেন। ঢাবির ছাত্র-ছা’ত্রীদের সহযোগিতা করছেন। ছাত্রলীগের সবাইকে তার মতো এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ শি’বলী রুবাইয়াতুল ইস’লাম জাগো নিউজকে বলেন, এক মাস ধরে খুব ভালো কাজ করছেন তিলোত্তমা। তার পাশাপাশি ডাকসুর সবাই কাজ করছেন। আমি খুব খুশি তাদের কাজে।
জাতীর এই সংকটে তাদের এগিয়ে আসা আমাদের স্বপ্ন দেখায়, প্রত্যাশা রাখি দু’র্যোগ কে’টে যাবে। আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।